খাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের পেঁয়াজ, আড়তে কমছে দাম

চট্টগ্রাম: ভারতে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে রাতারাতি একশ’ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কমছে খাতুনগঞ্জের আড়তে। দুই দিনে অন্তত চার-পাঁচ ট্রাক মিয়ানমারের পেঁয়াজ ঢুকেছে বেশকিছু আড়তে।

বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে তুলনামূলক দাম বেশি হওয়ায় বেচাকেনা হচ্ছে কম। তবে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাব খুচরায় পড়ছে ধীরগতিতে।
খুচরায় মানভেড়ে ৯০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মিতালী ট্রেডার্সের ম্যানেজার  জানান, আজ দুই দিন হলো মিয়ানমারের পেঁয়াজ আড়তে ঢুকেছে। স্বাদ ও রং অনেকটা দেশি পেঁয়াজের মতো।

আড়তে এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। অন্যদিকে ভারতের পেঁয়াজ মান, আকার ও রং ভেদে ৭৮ টাকা থেকে ৮৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
গত ২৯ অক্টোবর ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে খাতুনগঞ্জের আড়তে প্রতিকেজি মান ও আকারভেদে ৯৫-১০০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। খুচরায় ১১০ টাকা বিক্রি হয় ওই দিন। কয়েকদিন পর পাইকারিতে ১০৫ টাকা এবং খুচরায় ১২০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভারতে ৫-৭ রুপি কমেছে। তাই দেশের বাজারেও দাম কমেছে। যে পেঁয়াজ কয়েকদিন আগে পাইকারিতে ১০৫ টাকা ছুঁয়েছিল তা এখন ৭৫-৮৫ টাকা।

মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে দুই দিনে ৪-৫ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকেছে খাতুনগঞ্জে। এগুলোর পড়তা পড়েছে একশ’ টাকার বেশি। বাজার পড়ে যাওয়ায় লোকসানে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে আমদানিকারককে। চীন ও পাকিস্তান থেকে বেশ কয়েক দফা পেঁয়াজ এলেও এখন খাতুনগঞ্জের বাজারে নেই। বাজার বুঝে হয়তো আবার আমদানি করবেন সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *