কিশোরীকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিনজন গ্রেফতার

যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার এক কিশোরীকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার ও ধর্ষণের আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনা, গোপালগঞ্জ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, ভিকটিম কিশোরীকে দুই দফায় ৯ জন ধর্ষণ করেছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, ভিকটিমের বন্ধু যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আল আফসান পুষ্প (১৫), খড়কি হাজামপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হান (২০) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে শাকিল (২০)।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ১ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভিকটিম রিকশাযোগে শহরের বকচর থেকে মণিহার এলাকায় যাচ্ছিল। বকচর র‌্যাব ক্যাম্পের অদূরে পৌঁছালে কয়েকজন তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরের দিন অসুস্থ অবস্থায় কিশোরীকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর কিশোরীর মা চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের তদন্তে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর ডিবি পুলিশ গত ২ জানুয়ারি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি পুষ্পকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ থেকে রায়হান ও যশোর শহরের খড়কি এলাকা থেকে শাকিল নামে দুইজনকে আটক করে। পরে তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামত উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি পুষ্পের সঙ্গে ভিকটিমের বন্ধুত্ব ছিল। একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পুষ্পের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে অপহরণ করে। এরপর শহরের খড়কি ডাক্তার বাড়ির পেছনের একটি বাগানে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক মাদক সেবন করিয়ে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করে। পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় শহরের লোন অফিসপাড়ায় সন্ত্রাসী ভাগ্নে হৃদয়ের বাড়িতে রেখে যায়। সেখানে ভাগ্নে হৃদয়সহ আরও ৪ জন রাতভর তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় ভিকটিমকে তারা হাসপাতাল এলাকায় ফেলে রেখে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষণকারীদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *