গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ সম্বন্ধে কিছু অজানা তথ্য: পর্ব ১

প্রশ্নঃ গর্ভপাত কি ?
উওরঃ গর্ভধারনের ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভস্থ  ভ্রুনের বৃদ্ধি বন্ধ হওয়া বা চলমান প্রেগনেন্সির  আংশিক বা পুরো ভ্রুন জরায়ু থেকে বের হয়ে যাওয়াকে গর্ভপাত বলে ।
প্রশ্নঃ গর্ভপাত  কয়  ধরনের এবং  কি কি ?
উওরঃ দুই  ধারনের –
১ ।  স্বত:ইস্ফূর্তো -একা একা গর্ভপাত হওয়া।
২ । ঐচ্ছিক  -নিজে ঔষধ /শল্য চিকিৎসা  প্রয়োগে গর্ভপাত ঘটানো ।
প্রশ্নঃ গর্ভপাতের  হার  কত ?
উওরঃ ১৫%।
প্রশ্নঃ কোন  সময়ে  গর্ভপাত  বেশি  হয় ?
উওরঃ ৭ থেকে  ১২ সপ্তাহে  সবচেয়ে  গর্ভপাত  বেশি  হয় ।
প্রশ্নঃ গর্ভপাতের সব কারন কি আগে থেকে বুঝা যায়?
উওরঃ না।
প্রশ্নঃ কারনগুলো  কি কি :
উওরঃ অদ্যবধি  চিকিৎসা বিজ্ঞান গর্ভপাতের সঠিক  কারন প্রকাশে গবেষনা চালাইয়া যাচ্ছে।
সম্ভাব্য কারনগুলো —
* ডিম্বানু ও শুক্রানুর  জীনগত / ক্রোমোজোমাল (Chromosomal) ত্রুটির  জন্য ভ্রুনের গঠনগত সমস্যা যা প্রাকৃতিক নিয়মে গর্ভপাত হলে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম রোধ করে। কাজেই  গর্ভপাত হলে মানষিকভাবে ভেংগে না পড়ে স্বস্তি পাওয়া উচিত ।
* হরমোনের সমস্যা থাকলে।
* ইনফেকশন।
* জরায়ুর গঠনগত ত্রুটি /জরায়ুর ভিতরে পর্দা  (Septum)।
* জরায়ুর টিউমার /ফাইব্রোয়েড (Fibroid)।
* জরায়ুর মুখ ঢিলা হওয়া (Cervical
 Incompetence )।
* রক্তজমাট বাধা সমস্যা (Antiphospolipid Antibody )।
প্রশ্নঃ গর্ভপাতের ঝুঁকিগুলো কি কি ?
উওরঃ
* অত্যাধিক কিডনি রোগ।
* অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড প্রেসার।
* অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
* অত্যাধিক মোটা (Obese )।
* আগে গর্ভপাত হয়ে থাকলে।
* অপুষ্টিতে ভুগলে।
* লুপাষ (systemic lupas erythromatosus) থাকলে।
* পোলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলে।
#বিঃদ্রঃ (২য় পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন)
লিখেছেন-
ডাঃ আয়েশা রাইসুল
বি.এইচ.এম.এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
এক্স-ফিজিসিয়ান, সি.সি.এম.টি (কন.)
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *