নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিএনপির শাহজাহান ওমর

ঝালকাঠি: ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) অনলাইনে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিন বিকেল ৫টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি-১ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহা. আব্দুস সালেক।

একই দিনে ঝালকাঠির দুটি আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুসহ আরও ১৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, ঝালকাঠি-০১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সেখানে তিনি দলীয় প্রতীক হিসেবে নৌকায় টিক চিহ্ন দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, একই আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বজলুল হক হারুন (নৌকা), বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, মামুন সিকদার (সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট), জসিম উদ্দিন তালুকদার (তৃণমূল বিএনপি), আবু বকর সিদ্দিক (জাকের পার্টি), এজাজুল হক (জাতীয় পার্টি) মনিরুজ্জামান মনির (স্বতন্ত্র), নুরুল আলম (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ইসমাইল (স্বতন্ত্র), মুজিবুর রহমান মৃধা (স্বতন্ত্র) ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।

তিনি জানান, ঝালকাঠি-০২ (সদর-নলছিটি) আসনে আমির হোসেন আমু (নৌকা), ফারুক আহম্মেদ (জাকের পার্টি), নাসির উদ্দিন (জাতীয় পার্টি), মো. ফোরকান (এনপিপি) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র দাখিল নিয়ে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে সর্বমহলে চলছে রাজনৈতিক গুঞ্জন।

এছাড়া ঝালকাঠি-১ আসনে কে হবেন নৌকার মাঝি! এ বিষয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। অপরদিকে এ আসনের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে চরম হতাশা। কি করবেন আর কোন দিকে যাবেন সেই দোটানায় পড়েছেন তারা।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিনে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ সদস্য হত্যা ও অগ্নিসংযোগের নির্দেশদাতা হিসেবে করা মামলায় শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। পরদিন তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। এরপর গত ৯ নভেম্বর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।