কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজি উল্লাহ ডাকাত (৩০) নিহত হয়েছে। সে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং কুখ্যাত ডাকাত জকির আহমদের সহযোগী। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (৬ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া মাটিছিড়া পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় সেনাবাহিনী, র্যাব ও মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকসহ তিন ডাকাতকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় (ওসি) তদন্তসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আটক ডাকাতরা হলো, টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া ক্যাম্পের খুরশেদ আলম (৩৯), জাদিমুরা ক্যাম্পের আমিন (২৫) ও টেকনাফ সদরের রাজারছড়া এলাকার সাইফুল ইসলাম (২০)।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত জকিরের অবস্থানের খবর পেয়ে অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশের দিকে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩টি দেশীয় এলজি, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২৩ রাউন্ড গুলির খালি খোসা ও ২ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ ডাকাতদের টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক অজি উল্লাহকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে পৌঁছলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।’
পুলিশ জানায়, নিহত অজি উল্লাহ ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এবং মাদক কারবারে জড়িত ছিল। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে।