মাদ্রাসা সুপারের ধর্ষণের শিকার ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে হাসপাতালে

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মাদ্রাসা সুপার কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে এক শিশু ছাত্রী (১১) অন্তঃসত্ত্বা হয়। পরে তাকে জোর করে গর্ভপাতের ট্যাবলেট খাওয়ানোয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) কেন্দুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন ব্যানার্জী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপজেলার রোয়াইলবাড়ী বাজারের কাছের আশরাফুল উলূম জান্নাতুল মাওয়া মহিলা মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। মাদ্রাসা সুপার আব্দুল হালিম (৩৪) পলাতক রয়েছে।

এসআই সুজন বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসা সুপার হালিম তার মাদ্রাসার এতিম ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে জানা গেছে। ফলে মেয়েটি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। হালিম বিষয়টি টের পেয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ছাত্রীকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ায়। এতে মৃত বাচ্চা প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর প্রথমে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে এবং পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে শুনেছি।’

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান বলেন,‘পুলিশ ধর্ষককে ধরার চেষ্টা করেছে। গত রাতেও অভিযান চালানো হয়। তবে ধর্ষকসহ সবাই পালিয়ে গেছে। তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *