যুক্তরাষ্ট্রে দফায় দফায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১২ এপ্রিল রবিবার থেকে শুরু হওয়া এসব ঝড় সোমবার রাত পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। লুজিয়ানা, টেক্সাস ও মিসিসিপি রাজ্যে ছোট-বড় প্রায় ৬০টি টর্নেডো আঘাত হানে। অ্যালাবামা, জর্জিয়া ও ক্যারোলিনার বিভিন্ন অংশে তীব্র বেগে আছড়ে পড়ার পর ঝড়ের গতিমুখ এখন উত্তরপূর্বাঞ্চলের দিকে।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে। রাজ্যের ছয়টি অঞ্চলে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ ক্যারোলিনায় ৯ জন, জর্জিয়ায় আট জন, টেনেসিতে তিন জন ও আরকানসাসে একজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
মিসিসিপিতে মৃতদের মধ্যে লাওরেন্স কাউন্টির ডেপুটি শেরিফ রবার্ট এইনসওর্থ ও তার স্ত্রীও রয়েছেন। কাউন্টির শেরিফ অফিস জানিয়েছে, রবার্ট ঝড়ের সময় তার স্ত্রী পাউলাকে রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের তাণ্ডবে তাদের দুই জনেরই মৃত্যু হয়।
আক্রান্ত এলাকায় বহু ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর কয়েক লাখ মানুষ।
করোনা মোকাবিলায় আগে থেকেই অনেক এলাকা লকডাউনে থাকায় সেসব স্থানে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। স্কুলের মতো স্থানে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদেরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।